শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ
শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ মানব কল্যাণ কামী ও সংসারত্যাগী একজন সাধক মহাপুরুষ।
বার আউলিয়া ও মুনি ঋষিদের জন্মস্থান পুন্যভূমি চট্টগ্রামস্থ বাঁশখালী উপজেলার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের লীলা ভূমি জঙ্গল কোকদন্ডীর গভীর জঙ্গলে সাধনার সিদ্ধিলাভ করে তিনি প্রতিষ্টা করলেন সিদ্ধিপাঠ “ঋষিধাম”।
ঋষিধামের প্রতিটি ধুলিকণায় ও তরুলতায় স্বামীজির স্পর্শ, স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে।ঋষিধাম মানে অদ্বৈতভান্ডার, তাই ঋষিধাম সার্বজনীন,ঋষিধাম ঋষিদের,ভক্ত এবং সাধুদের সাধনার স্থান।ঋষিধাম মানুষের মঙ্গলনির্ঝরিনীর
ঋষিধাম শুধু বাংলাদেশের নয়,উপমহাদেশের নন্দনীয় আধ্যাত্মিক
প্রতিষ্টান বললেই চলে।যখানে নিত্য লীলারাজ প্রভু অদ্বৈতানন্দজী লীলাসাগরে
নিমজ্জিত করেছেন কলির নাম সংকীর্তণ পিপাসু মানবকে ভবসাগর পার করতে, তিনি
বলেছেন–
“নাম একমাত্রই পরম গুরু নাম ব্রহ্ম এককথায় ওঁ কার নাম জপে ষড়রিপুর বিকার
থেকে মুক্ত হয়ে পঞ্চভূতে গড়া মানবদেহের খাঁচা থেকে বেরিয়ে কোষমুক্ত শিবে
রুপান্তরিত হওয়া সম্ভব।
তাঁর অন্তরের দিবাগ্নি শিখা ঋষিধামের রন্ধে রন্ধে বিকীর্ণ করিত শক্তির প্রেরণা,জাগাইয়া তুলিত নব নব আশার তুর্য রব।তাঁর দৈহিক সত্তার তিরোধানে স্থুল চক্ষে তাঁকে না দেখিলেও তিনি তাঁর চিন্ময় রাজ্য হতে আমাদের সকলের জন্যই মঙ্গলবার্তা প্রেরণ করে যাচ্ছে।
জয় হোক শিবকল্পতরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ্জীর।তিনি অমৃত কুম্ভের নিত্য অতিথি।তিনিই পূর্ণ কুম্ভ।মানবতার নিত্য সাধক।গরুর মাংসকে মিষ্টি করার শক্তিধারী ভূমাঋষি অদ্বৈত প্রভু।সার্থক মানব জীবন ধন্য।প্রনাম শতকোটি তোমার শ্রীচরণে,হে অদ্বৈতজী।
জয় গুরু
শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ
উপসনা পদ্ধতি অডিও শুনতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন..........
গুরুস্তুতি
ওঁ অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরং।
তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
নিত্যং শুদ্ধং নিরাভাসং নির্বিকারং নিরঞ্জনং
নিত্য বোধং চিদানন্দং গুরুর্ব্রহ্মং নমাম্যহম্।।
ধ্যানং মূলং গুরুমূর্তি পূজামূলং গুরুপদং
মন্ত্র মূলং গুরুবাক্যং মোক্ষমূলং গুরুকৃপা।।
ওঁ মন্নাথঃ শ্রীজগন্নাথো মদগুরু শ্রীজগদগুরুঃ
মদাত্মা সৰ্ব্বভূতাত্মা তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
ওঁ আনন্দমানন্দকরং প্রসন্নং জ্ঞানস্বরূপং নিজবোধযুক্তং
যোগীন্দ্ৰমীড্যং ভবরোগবৈদ্যং শ্রীমদ্গুরুং নিত্যমহং ভজামি
ব্রহ্মানন্দং পরমসুখদং কেবলং জ্ঞানমূৰ্ত্তিং
দ্বন্দ্বাতীতং গগনসদৃশং তত্ত্বমস্যাদিলক্ষ্যম্।।
একং নিত্যং বিমলমচলং সৰ্ব্বধী সাক্ষী ভূতং
ভাবাতীতং ত্রিগুণ রহিতং সদ্গুরুং তং নমামি ।।
সন্ধ্যাকালীন গুরুস্তুতি
ভবসাগর তারণ কারণ হে, রবিনন্দন বন্ধন
খণ্ডন হে।
শরণাগত কিঙ্কর
ভীত মনে, গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
হৃদিকন্দর তামস ভাস্কর হে, তুমি বিষ্ণু প্রজাপতি শঙ্কর হে।
পরব্রহ্ম পরাৎপর বেদ ভনে, গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
মনবারণ শাসন অঙ্কুশ হে, নরত্রাণ তরে হরি চাক্ষুষ হে।
গুণগান পরায়ণ দেবগণে, গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
কুলকুণ্ডলিনী ঘুমভঞ্জক হে, হৃদিগ্রন্থি বিদারণ কারক হে।
মম মানস চঞ্চল রাত্রি দিনে, গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
রিপুসূদন মঙ্গল নায়ক হে, সুখ শান্তি বরাভয় দায়ক হে।।
ত্রয় তাপ হরে তব নামগুণে, গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
অভিমান প্রভাব বিমর্দক হে, গতিহীন জনে তুমি রক্ষক হে।
চিত শঙ্কিত বঞ্চিত ভক্তিধনে, গুরুদেব দয়া করদীনজনে।।
তব নাম সদা শুভ সাধক হে, পতিতাধম মানব পাবক হে।
মহিমা তব গোচর শুদ্ধ মনে, গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।জয় সদ্গুরু ঈশ্বর প্রাপক হে, ভবরোগ বিকার বিনাশক হে।
মন যেন রহে তব শ্রীচরণে, গুরুদেব দয়া কর দীন জনে।।
গুরু বন্দনা (কীর্তন)
শ্রী গুরু চরণ পদ্ম, কেবল ভকতি সদ্ম
বন্দোঁ মুঞি সাবধান মতে
যাহার প্রসাদে ভাই, এই ভব তরিয়া যায়
কৃষ্ণ প্রাপ্তি হোয় যাহা হৈতে
গুরু মুখ পদ্ম বাক্য, চিত্তেতে করিব ঐক্য
আর না কোরিহো মনে আশা
শ্রী গুরু চরণে রতি, এই সে উত্তম গতি,
যে প্রসাদে পূরে সর্ব্ব আশা
চক্ষু দান দিল যেই, জন্মে জন্মে প্রভু সেই,
দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত
প্রেম ভক্তি যাহা হৈতে, অবিদ্যা বিনাশ যাতে
বেদে গায় যাহার চরিত
শ্রী গুরু করুণা সিন্ধু, অধম জনার বন্ধু,
লোকনাথ লোকের জীবন
হা হা প্রভু! কর দয়া, দেহো মোরে পদ-ছায়া,
এবে যশঃ ঘুষুক ত্রি-ভুবন
আবাহনী
আবার বাজাও তোমার পাঞ্চজন্য সুদর্শনধারী
প্রভু এসো এসো ঋষিকেশ ধরার ভার হারী।।
বহু দিন গত হয়....কুরুক্ষেত্রে ধনঞ্জয়,
শুনেছিল তব মুখে গীতামৃত বানী,
কত পাপী-তাপী তরে গেল তত্ত্ব কথা শুনি।।
পালতে বর্ণাশ্রম ধর্ম,........বুঝাতে বেদ বিধির মর্ম
জাগাও আবার লুপ্ত ধর্ম........সুপ্ত হৃদি মাঝে,
আমি জন্মি যেন তোমার নামে মরি তোমার কাজে।।
দাও হে শ্রদ্ধা ,দাও হে ভক্তি, দাও হে সেবা অনুরক্তি,
ঢাল প্রাণে নব শক্তি গীতামৃত দিয়ে
আমার নীরস প্রাণ সরস কর তত্ত্ববানী গেয়ে।।
কুরুক্ষেত্রে ঐ জয়গান ...গাওহে আবার হে ভগবান,
কাতরে করি আহবান গোলক বিহারী,
আমার শূণ্য আসন পূর্ণ কর ওহে দয়াল হরি।
আমি চিরকাল প্রার্থনা করি দাও হে চরণতরী।।
আবার বাজাও তোমার পাঞ্চজন্য সুদর্শন ধারী
প্রভু..এস এস ঋষিকেশ ধরার ভার হারী।
0 Comments