তদ্ বিদ্ধি প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া।
উপদেক্ষ্যন্তি তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শিনঃ।।৩৪।।
অনুবাদঃ
সদগুরুর শরণাগত হয়ে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করার চেষ্টা কর। বিনম্র চিত্তে প্রশ্ন
জিজ্ঞাসা কর এবং অকৃত্রিম সেবার দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট কর। তা হলে সেই
তত্ত্বদ্রষ্টা পুরুষেরা তোমাকে জ্ঞান উপদেশ দান করবেন।
গুরু কে?
শ্রীরামকৃষ্ণ এক কথায় বলেছেন
‘গুরু হল ঘটক’। যিনি ভগবানের সঙ্গে ভক্তের যোগ ঘটিয়ে দেন। গুরু শিষ্যের
ভাব অনুযায়ী মন্ত্র ও ইষ্ট ঠিক করে দেন। যে দক্ষ ব্যক্তির কাছে দীক্ষা
গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ অন্ধকার থেকে আলোয় আসার ঠিকানা পায় বা পথ দেখতে পায়
তিনিই গুরু। আরও বিশদে বলা যায়, গুরু হলেন আধ্যাত্মিক পথের দিশারী। মানুষকে
জাগতিক চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উন্নীত করে পরম সত্যস্বরূপ ঈশ্বরের সাক্ষাৎ
ঘটিয়ে দেন।
শাস্ত্রে বলেছে—
যিনি অজ্ঞানরূপ তিমির অন্ধকারে জ্ঞানরূপী অঞ্জন দ্বারা চক্ষুর উন্মিলন ঘটান তিনিই হলেন গুরু।
একটা
মজার কথা বলি, ‘ইঞ্জিন স্বরূপ গুরু’ ‘গাড়ি স্বরূপ শিষ্যকে’ বিভিন্ন
টানাপড়েন, ওঠা-পড়া, শোক-তাপ, দুঃখ-কষ্ট অথবা আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে টেনে
নিয়ে চলে উত্তরণের পথে।
শিক্ষা -দীক্ষা
দীক্ষা
মানে উপদেশ বা আদর্শের জন্য একজন গুরুর শিষ্যত্ব গ্রহণ। দীক্ষা শব্দটি
শিক্ষার সাথে গভীর ভাবে সম্পর্কিত। কেননা শিক্ষকগণই আমাদের গুরু তারাই
আমাদেরকে শিক্ষা বা বিদ্যার দীক্ষা দিয়ে থাকেন। শিক্ষককে গুরু রুপে গ্রহণ
করতে না পারলে শিক্ষা কোন দিন পূর্ণতা পায় না।জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের নাম শিক্ষা নয়। আসলে শিক্ষা নিজেই জীবন।
আর দীক্ষা সে জীবনেরই প্রাণ। সভ্যতার স্বর্ণদ্বারের তালা খুলতে হলে
দু'খাঁজের একটা যোগ্য চাবি লাগে। সেই চাবিটার এক খাঁজের নাম শিক্ষা, আর
অন্য খাঁজটার নাম দীক্ষা। আর তখনই সভ্যতার সেই স্বর্ণচাবির নাম
হয়'শিক্ষা-দীক্ষা'।
দীক্ষা কি?
দীক্ষা গ্রহণ করার আবশ্যকতা কোথায়?
দীক্ষা সর্বকার্যে শুদ্ধিকারক। অদীক্ষিত কোন ব্যক্তি যদি
আধ্যাত্মিকতার যেকোন কার্য করুক না কেন? তৎসমুদয়ের কোন মূল নেই। তাই
প্রত্যেকে দীক্ষা গ্রহণ করা অবশ্যই উচিত। দীক্ষা ব্যতীত কোন ভক্তকে ভগবান
নিজেও দর্শন দেন না তা শাস্ত্রে বিধিত আছে।
দীক্ষা কি?
দীয়ন্তে জ্ঞানমত্যন্তং ক্ষীয়তে পাপসঞ্চয়ঃ।
তস্মাদ্ দীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্বদর্শিভিঃ।।
দিব্যজ্ঞানং যতো দদ্যাৎ কৃত্যা পাপস্য সংক্ষয়ম্।
তস্মাদীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্ববেদিভিঃ।।
(রুদ্রযামল ও যোগিনী তন্ত্রে)
অনুবাদঃ
যে কার্য পাপক্ষয় করিয়া দিব্য জ্ঞান প্রকাশ করে, তাহাই দীক্ষা।
প্রকৃতপক্ষে দীক্ষার অর্থ বর্ণ বা শব্দ বিশেষ, শ্রবণ করা নহে। বর্ণ বা
বর্ণগুলি শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম বলিয়া পরিকীর্তিত আছে। সেই শব্দব্রহ্ম বা
নাদব্রহ্মই বর্ণ। সেই বর্ণই ভগবানের নাম। নাম এবং নামী অভেদ, কিছুই প্রভেদ
নাই। এইভাবে যেই নাম বা মন্ত্র গ্রহণ করা হয় তাহাই দীক্ষা।
সাধু-গুরু-বৈষ্ণব সম্পর্কে জানুন নিচের লিংকে ক্লীক করে
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
আরো পড়ুন.....
আমাদের সমস্ত দুঃখের কারণ অজ্ঞনতা। সুতরাং জানতে হলে পড়তে হবে।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
এখানে ক্লিক করুন
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার আলোকে মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বজিজ্ঞাসা প্রশ্ন-উত্তরে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
এখানে ক্লিক করুন
একাদশী ব্রত পালনের তাৎপর্য ও নিয়মাবলি এবং বছরের সব একাদশির মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
এখানে ক্লিক করুন
পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
এখানে ক্লিক করুন
আরতি-উপসনা-প্রার্থনা সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
এখানে ক্লিক করুন
সনাতন পারমার্থিক জ্ঞান সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
এখানে ক্লিক করুন
গুরুতত্ত্ব সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
এখানে ক্লিক করুন
অডিও ভিডিও ভজন-আরতি-নামকীর্তন শুনুন এবং ডাউনলোড করুন নিচের লিংকে ক্লিক করে...
এখানে ক্লিক করুন
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে নিজে জানুন অন্যকে জানার সুযোগ করে দিতে অবশ্যই স-কলকে শেয়ার করুন..........................................
0 Comments